Ad

কিছু অপ্রকাশিত কথা



লেখক- সেখ মইনুল হাসান 



সারা দুনিয়ার হিন্দু, হিহুদি, খীরস্টান রা যখন মুসলিম দের ধংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে সেই মুহুর্তে কিছু নাম ধারি মুসলিম তাদের কাজে ঘী ঠেলে কাজ টাকে আরো সহজ করে দিচ্ছে। 

ইসলামের শত্রু রা চাই ইসলাম কে ভেঙ্গে নিজেদের মধ্যে লড়াই বেধে দেওয়ার, আর আজ আমরা সেটাই করছি, সামান্য কিছু মসলা নিয়ে নিজেদের মধ্যে কিলাকিলি করি। 

কি ভাবে? 



আমাদের ইসলামে ৪ ইমাম আছেন এবং ৪ টার ইমামের মধ্যে যে কোন একটা ইমাম কে অনুসরন করতে পারে। 

কিন্তু কিছু ইমাম ও ইমাম এর নামধারী অন্ধভক্ত আছে যারা যুগ যুগ ধরে ভুল ভাল কথা বলে ইসলামের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। 

এদের কাছে ইসলাম মানে হানেফি মালেকি ইত্যাদি উত্যাদি…… 



এদের কাজ কি? 



এরা মুসলিম দের মত সেজে থাকে এবং কিভাবে অন্য মুসলিম এর ভুলভাল ধরে অপমান করা এবং মসলা মসয়ায়েল নিয়ে তর্ক করা। 

এরা কখনো নিজেকে সংশোধন করবে না অন্য কে ইসলামের দাওয়াত দেয় না। 

কিছু দীনের কাজ বললেই আগের টাকার কথা বলবে এরা আখেরাতের ফায়দা থেকে বেশি দুনিয়ার ফায়দা বেশি দেখে। 

এরা হকের কথা বলে না এরা তলা চাটা দের মত। 

নিজস মতমাত বলে কিছু নেই যযে যেমন তাদের মত হয়ে যায়। 

এরা উড়ো খবর এ খুব বিসসাসী হয় কোন কিছু যাজাই করে না। 

সমাজে যত বিদাত আছে সেগুল নিয়ে কখনো প্রতিবাদ করে না কিন্তু কোন আম সাথী কিছু ভুল করলে ওদের খুব জুলে যায় অথচ সমাজের বিদাত গুল ওনাদের ই মাধ্যমে হয়েছে। 

কোরান-হাদিস এর জ্ঞান নেই কোন রকম টেনে টুনে পেটের দায়ে পড়াশুনা করে। 



আমার কিছু কথা- 



মসজিদে হক সবার। মসজিদ নিয়ে দলাদলি নাই। অনেক জায়গায় হানাফী মসজিদ, আহলে হাদীস মসজিদ এরকম মসজিদ আমরা দেখি। এগুলো ঠিক না। হানাফি মসজিদ বলে কিছু নাই, আহলে হাদীস মসজিদ বলে কিছু নাই। ছোট্টখাটো বিষয় নিয়ে দলাদলি ঠিক না। 

একজন হাত তুলে, আরেকজন তুলে না (রফউল ইয়াদাঈন), একজন জোরে আমিন বলে, আরেকজন আস্তে আমিন বলে। এগুলো কি মারামারি করার কোনো বিষয়? 

চার ইমামের মধ্যে নিজেরা মারামারি করে নাই আমরা কেন করব? 

নামাজে ফরজ আছে, ওয়াজিব আছে, সুন্নাত আছে। খুব মন দিয়ে বুঝবেন। ফরজ যদি নষ্ট হয়, নামাজ ভঙ্গ হয়। নামাজ আবার পড়তে হবে। ওয়াজিব যদি নষ্ট হয়, নামাজ ভঙ্গ হয় না, পুনরায় পড়াও লাগে না; সাহু সিজদাহ দিলে নামাজ আদায় হয়ে যায়। আর সুন্নাত ভঙ্গ হলে নামাজ নষ্ট হয় না, পুনরায় আদায় করা লাগে না, সাহু সিজদাহও দেওয়া লাগে না। 

আমিন জোরে বলা কিংবা আস্তে বলা এটা সুন্নাত। হাত তোলা বা না তোলা এটা সুন্নাত। এগুলো যদি কেউ না-ও করে তবে তার নামাজ হয়ে যাবে । আর আমরা এই মতবিরোধপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে করছি কিলাকিলি! 

আমরা চাই এগুলোর অবসান ঘটুক। আর কতো ছোটোখাটো বিষয়গুলো নিয়ে বিবেদের প্রাচীর তুলবো আমাদের মাঝখানে? কবে আমরা ঐক্যের সিন্ডিকেট করবো? কবে? কবে আমরা সাদা মনের মানুষ হবো? কবে? অনেক হয়েছে, আর না। এবার থামেন। বিবেদের প্রাচীরকে ভেঙ্গে ঐক্যের এমন সিন্ডিকেট গড়ুন যাতে কোনো অপশক্তি এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে না পারে। 

ইসলাম শুধু নামাজ রোজা নয় জন্ম থেকে মুত্যু পয্যন্ত সব কিছু আছে আকাশ পাতাল,মহাকাশ সব কিছু যতই বলি শেষ করতে পারব না। 

কিন্তু আজ আমরা সেগুল না পড়ে নিজেদের মধ্যে কিলাকিলি করি জাহেলির দের মত। 



এদের কে আল্লাহ হেদায়েত দান করুন এবং আমাদের হেফাজত করুন। 

এরা করোনার থেকেও বিপদ কারন করোনা শরির টাকে মারতে পারে ইমান নয় কিন্তু এরা ইমান নস্ট করার মত কথা-বার্তা বলে ও কাজ করে। 



“তোমরা আল্লাহ্র রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর ঐক্যবদ্ধভাবে এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। তোমাদের প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহ স্মরণ কর: তোমরা ছিলে পরস্পর শত্রু এবং তিনি তোমাদের হৃদয়ে প্রীতির সঞ্চার করেন, ফলে তাঁর অনুগ্রহে তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে। তোমরা অগ্নিকুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ্ তা থেকে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন।“ (আল-ইমরান ৩:১০৩)।

তোমরা ঐ মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত হয়ো না, যারা দ্বীনকে টুকরা টুকরা করে ফেলেছে এবং যারা দলে দলে বিভক্ত হয়েছে, প্রত্যেক দল তাদের কাছে যা ছিল তাই নিয়েই খুশি (সূরা রূম, ৩০: ৩১ ও ৩২ আয়াত)

তোমরা তাদের মত হয়ো নাযারা তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পরে বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং মতভেদ করেছেএদের জন্য রয়েছে মহা শাস্তি।” (সূরা আল-ইমরান ৩:১০৫)।


Post a Comment

0 Comments