জঙ্গিদের সাথে সাক্ষাৎ
লেখক- সুরমান সেনগুপ্ত
সহমনের পক্ষ থেকে আমরা কিছুজন আজ গেছিলাম উত্তর ২৪ পরগণার , হাড়োয়াতে দুটো মাদ্রাসাতে । শুধু দেখা নয় ওখানকার বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করা, কি করে মুসলমান অনাথ বাচ্চারা পড়াশুনা করে , থাকে। কি পড়ে? যখন চারিদিকে প্রচার হচ্ছে যে প্রতিটি মাদ্রাসা নাকি সন্ত্রাসবাদের আখড়া, ওখানে নাকি একটা গোপন ঘর আছে যেখানে নাকি অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, তখন আমরা দেখতে গেছিলাম নিজেদের চক্ষু কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করার জন্য যে সত্যিই কি তাই হয় ?
রাকিবুল যার মা মারা গেছে , বাবা ছেড়ে দিয়ে কোথায় চলে গেছেন সে পড়ছে ওই মাদ্রাসাতে।
শিখছে বাংলা বর্ণমালা বয়স ৭ বছর, প্রায় আমার মেয়ের বয়সী। পড়াশুনা করছে, বিকেলে খেলছে।
আমাদের মতোই মানুষ , হ্যাঁ, ঠিক পড়লেন আমাদের মতো ওর ও দুটো হাত পা আছে। ওর সমস্যা ও খুব গরীব ঘরের প্রায় অনাথ একটি ছেলে যে অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
রাকিবুল যার মা মারা গেছে , বাবা ছেড়ে দিয়ে কোথায় চলে গেছেন সে পড়ছে ওই মাদ্রাসাতে।
শিখছে বাংলা বর্ণমালা বয়স ৭ বছর, প্রায় আমার মেয়ের বয়সী। পড়াশুনা করছে, বিকেলে খেলছে।
আমাদের মতোই মানুষ , হ্যাঁ, ঠিক পড়লেন আমাদের মতো ওর ও দুটো হাত পা আছে। ওর সমস্যা ও খুব গরীব ঘরের প্রায় অনাথ একটি ছেলে যে অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
সে পড়ছে প মানে পতাকা , ভারতের পতাকার মান রাখা আমাদের কাজ। যারা ভাবেন যে মুসলমানেরা পাকিস্তানি, তাদের জন্য আমরা এই কাজটা করবো। আপনারা চাইলে যুক্ত হতে পারেন। আমরা সানন্দে যোগ দিতে পারেন আমরা আবার যাবো।
না , জোর গলায় বলছি মাদ্রাসা সন্ত্রাসবাদের জায়গা নয়। ওখানকার মুফতি সাহেবরাও বললেন হুগলির সাংসদ বিজেপির লকেট চ্যাটার্জী যখন বলেন ওই কথাগুলো তখন আমাদের সহমনের এই উদ্যোগটা অবশ্যই অন্যরকম। অনুরোধ করলেন আমরা যেন এই কথাগুলো প্রচার করি।
ওরা সংবিধান শিখছে, গণিত শিখছে। ভাষা শিখছে, সঙ্গে কোরানও শিখছে। ওরা আমার আপনার বাড়ির বাচ্চাদের মতোই। ওদেরও দুষ্টুমি আছে। ওরাও খুশী হয় কোনো উপহার পেলে। আমরা হাতে করে পেন, পেন্সিল , লজেন্স নিয়ে গেছিলাম , ওরা তাতেই খুশী।
সব শেষে ' ওরা ' শব্দটার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলাম।
সহমন এই কাজটা করবে ছোট ছোট করে, মানুষের কাছে যাবে আর এই অভিজ্ঞতাগুলো সামনে নিয়ে আসবে। এই টুকুই তো কাজ।
দস্তরখান বিছিয়ে একসঙ্গে বসে ফল খাওয়া একসঙ্গে গল্প করা এইটুকুতে উনারাও খুশী হলেন আর আমরা কি পেলাম --- ভালবাসা, যেটার বড় অভাব আজকের সময়ে।
সহমন এই কাজটা করবে ছোট ছোট করে, মানুষের কাছে যাবে আর এই অভিজ্ঞতাগুলো সামনে নিয়ে আসবে। এই টুকুই তো কাজ।
দস্তরখান বিছিয়ে একসঙ্গে বসে ফল খাওয়া একসঙ্গে গল্প করা এইটুকুতে উনারাও খুশী হলেন আর আমরা কি পেলাম --- ভালবাসা, যেটার বড় অভাব আজকের সময়ে।
0 Comments